অনলাইন ডেস্ক:: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম (এফএইচ) হলে তোফাজ্জল হোসেন নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তাঁদের দুজনকে আটক করে শাহবাগ থানা–পুলিশ।
আটক দুজন হলেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জালাল মিয়া এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ সুমন। এর মধ্যে জালাল হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপসম্পাদক। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে তিনি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিগুলোয় সক্রিয় ছিলেন। মোহাম্মদ সুমনের রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি।
আজ বিকেল সোয়া চারটার দিকে এফএইচ হল থেকে ওই দুই শিক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁরা এখন শাহবাগ থানায় আছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম সাহাবুদ্দিন শাহীন সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তোফাজ্জল নামের ওই যুবক গতকাল রাত আটটার দিকে বঙ্গবাজার এলাকার পার্শ্ববর্তী এফএইচ হলের ফটক দিয়ে মাঠের ভেতরে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষার্থী চোর সন্দেহে তাঁকে আটক করে হলের অতিথিকক্ষে নিয়ে যান। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে তাঁকে হলের ক্যানটিনে নিয়ে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়। এরপর আবার তাঁকে হলের অতিথিকক্ষে এনে ব্যাপক মারধর করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, এ সময় ওই যুবককে স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর করা হয়েছিল। তাঁরা জানান, গতকাল দুপুরে হল থেকে কয়েকজন ছাত্রের মুঠোফোন ও মানিব্যাগ চুরি হয়েছিল। সেই ঘটনায় তোফাজ্জলকে সন্দেহ করে এভাবে মারধর করা হয়।
পরে রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :